কন‍্যাশ্রীর টাকায় মাস্ক বিলি : ছাত্রীর উদ‍্যোগকে কুর্নিশ জানাবে রাজ‍্য

12th August 2021 3:37 pm বাঁকুড়া
কন‍্যাশ্রীর টাকায় মাস্ক বিলি : ছাত্রীর উদ‍্যোগকে কুর্নিশ জানাবে রাজ‍্য


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাঁকুড়ার মেয়ে পাচ্ছে 'কন্যাশ্রী' সম্মান! কন্যাশ্রী'র টাকায় মাস্ক বিলি দশম শ্রেণীর ছাত্রীর! ছাত্রীর মহান অবদানকে কুর্নিশ জানাবে রাজ্য!


এবার বাঁকুড়া জেলার কন্যার হাতে উঠতে চলেছে কন্যাশ্রী পুরস্কার। করোনাকালে সমাজের জন্য এক স্কুল ছাত্রীর ভাবনাকে কৃতিত্ব জানানোর উদ্দেশ্যে এবার জেলার মেয়েকে সম্মানিত করবে রাজ্য। ইন্দাস ব্লকের ছোট গোবিন্দপুর এস এন পাঁজা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী পায়েল নন্দীর মাথায় উঠতে চলেছে সেই শিরোপা। কোন ভাবনা থেকে কোন কাজ করেছে এই দশম শ্রেণীর পায়েল? জানা গেছে, করোনার ভয়াবহতা দেখে সে নিজের কন্যাশ্রীর টাকা তুলে মাস্ক কিনে সেগুলি বিলি করেছে পাড়াগ্রাম থেকে হাট বাজার সব জায়গাতেই। আর দশম শ্রেণীর ছাত্রীর এই মহতী কাজের স্বীকৃতি হিসাবে আগামী ১৪ অগস্ট কন্যাশ্রী দিবসে তাকে পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু কিভাবে এই স্কুল ছাত্রীর মনে উঠে এল এমন মহান ভাবনা? এ প্রসঙ্গে পায়েল বলে....

এদিকে পায়েলের মা ও বাবা বলেন, "ছোট থেকে ছেলেমেয়েদের মানবতার শিক্ষা দিয়েছি"।

আর পায়েলের এই মহান কাজ এবং তার স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার প্রাপ্তির খবর পেয়ে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, “পায়েলের এই কাজ নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্তমূলক।’’

এই দশম শ্রেণীর ছাত্রীর এই প্রশংসা করেছেন খোদ বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত। তিনি বলেন, "পায়েল যেভাবে পদক্ষেপ নিয়ে এই মাস্ক বিতরণের কাজ করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং সকলের কাছে একটি দৃষ্টান্তমূলক কাজ।"





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।